পটুয়াখালী-৩ আসনে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হকের (ভিপি নুর) সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে নেতাকর্মীদের বিএনপির নির্দেশনা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এ আসনে সর্বশেষ বিএনপির হয়ে নির্বাচন করেছিলেন গোলাম মাওলা রনি। দলের এমন সিদ্ধান্তের কথা শুনে তিনি বলছেন, ‘নুরুল হক নুর দীর্ঘদিন থেকেই জনাব তারেক রহমানের প্রিয়জন এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তি। নুর বিএনপির জন্য অনেক ঝুঁকি নিয়েছেন।
গত ২২ অক্টোবর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সংসদীয় এলাকায় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার থানা, উপজেলা, পৌরসভায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আদেশ অতীব জরুরি।’
মানুষ স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে, এখন দেশ গড়ার পালা: তারেক রহমান
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন ঘেরাওয়ের চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা
দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৭
এদিকে পটুয়াখালী-৩ আসনে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোলাম মাওলা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০১৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। তিনি আবারও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে আলোচনা আছে।
চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোলাম মাওলা রনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে লেখেন, ‘অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন! মতামত বা মন্তব্য জানতে চেয়েছেন। বাস্তবতা হলো - বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না আর এটা নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়াও নেই!
জনাব রুহুল কবির রিজভী যা করেন তা সবই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে করেন। আর জনাব তারেক রহমান যা করেন তা নিজের ইচ্ছায় স্বাধীনভাবে করেন।
জনাব নুরুল হক নুরু দীর্ঘদিন থেকেই জনাব তারেক রহমানের প্রিয়জন এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তি। জনাব নুরু গোপনে এবং প্রকাশ্যে বিএনপির জন্য অনেক ঝুঁকি নিয়েছেন। বিএনপি একটি কৃতজ্ঞ দল এবং জনাব তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতাবোধ সর্বজনবিদিত।
সুতরাং তিনি যদি তার দুঃসময়ের সহযোদ্ধা এবং একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত মানুষকে কোনো কিছু দিতে চান তা অবশ্যই প্রশংসনীয়!’