নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতে আপন চাচিকে হত্যার অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। অভিযুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার নাম ইমরান খান আকাশ (২৬)। রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্লাহপুর যুব সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধনে ইমরান খান আকাশকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কুতুব ইউনিয়ননের আবদুল্লাহপুর হাসপাতালের টেক এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নারী মারা যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক আইনের আশ্রয়ে নুতন কৌশল খুঁজছে
ঢাবির নিকাব পরিহিত ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তে নতুন পদক্ষেপ
মানিকগঞ্জ সিংগাইরে ঔষধ ফার্মেসির মালিক কর্তৃক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা অতঃপর চড় থাপ্পড়ে মিমাংসা।
ইমরান খান আকাশ বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলম মানিকের ছেলে ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই ওয়ার্ড সহসভাপতি।
জানা যায়, দীর্ঘ আট মাস আগে তিন কন্যার জননী নিহত তাজনাহার বেগমের (৪৬) স্বামী আলমগীর খান মারা যান। নিহত তাজনাহার বেগম অভিযুক্ত ইমরান খান আকাশের আপন চাচি হন। গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে অভিযুক্ত আকাশ তার সহযোগীদের নিয়ে তাজনাহারকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সাবেক চেয়ারম্যান মমিন উল্যাহ বলেন, স্বামীহারা তাজনাহারকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডার ইমরান খান আকাশ গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বিচার করতে হবে। অন্যথায় ওই নারীর আত্মা শান্তি পাবে না। এছাড়া সন্ত্রাসী আকাশকে গ্রেপ্তার না করলে তিনি তাজনাহারের তিন এতিম শিশুকন্যার ক্ষতি করতে পারে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, তাজনাহার আহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এখন তার মৃত্যুতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের বিষয়টি শুনেছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মানববন্ধনে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইমাম হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান মমিন উল্যাহ, সমাজসেবক জাহাঙ্গীর আলম হিরনসহ এলাকার লোকজন ও নিহতের তিন মেয়ে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।