Dhaka, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪

'রাষ্ট্র ও জনগণ জামায়াতের হাতে নিরাপদ থাকবে'

সিয়াম ইসলাম

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:১৩ এএম
'রাষ্ট্র ও জনগণ জামায়াতের হাতে নিরাপদ থাকবে'

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হবে উল্লেখ করে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা আমাদের হাতে থাকলে জনগণ ও রাষ্ট্র। নিরাপদ হবে। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর উত্তরা মডেল থানার যুব অধিদফতরের উদ্যোগে ৭ নম্বর সেক্টরে ন্যায্যমূল্য সবজি বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জামায়াতের লোকজন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে না। জামায়াতের লোকেরা স্বজনপ্রীতি করে না, রাজনীতিকে ব্যবসা হিসাবে নেয় না, প্রতিটি জামায়াতের লোকেরা বিভিন্ন ব্যবসা এবং চাকরি করে। উপার্জিত অর্থের একটি অংশ আমরা দলকে দিই। আমরা চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজি করি না।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জনগণ পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশকে জামায়াতের হাতে তুলে দিলে তারা দেখবে বাংলাদেশ কেমন হবে- আমরা দেখাব ইনশাআল্লাহ।

জামায়াতের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। বেকার সমস্যার সমাধান। বাংলাদেশে যে রেমিটেন্স আসে তার একটা বড় অংশ আসে আমাদের উদ্যোগ, আমাদের প্রচেষ্টার কারণে।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় না এসে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল নির্মাণ করে তা প্রমাণ করেছি। আমরা ইতিমধ্যে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। সেলিম উদ্দিন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগরবাসীকে সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা একটি সমৃদ্ধ নগরী চাই। আমরা একটি মানবিক শহর চাই। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত শহর চাই। নগরীর উন্নয়নে দলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সেলিম উদ্দিন বলেন, নগরীতে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে জনগণ অভিভাবক হিসেবে মেনে নেবে। শুধু মহানগর নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও সব নির্বাচনে জনগণ জামায়াতের নেতৃত্বকে গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অতীতের পতনশীল স্বৈরশাসকের এমন কোনো কাজ বাকি নেই। দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের জাতীয় নেতা-যারা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন-কে রাষ্ট্র থেকে একটি দলকে নিশ্চিহ্ন করার মিথ্যা নাটকে হত্যা করা হয়েছে।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন সফল ও দক্ষ মন্ত্রী ছিলেন। কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে সফলভাবে রূপান্তরিত করে - তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। জামায়াতের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সকল সমাজসেবামূলক কাজ জাতির সামনে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক জামায়াতে ইসলামীর বিদায়ের তিন দিন আগে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা জামাতকে নিষিদ্ধ করেছিল এবং আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে এই জাতির মাধ্যমে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। তারা দেশ থেকে বিতাড়িত।

সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, 'তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল অবশ্যই থাকবে যারা মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে। এটা ভালো কাজের আদেশ করবে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে। এবং তারা সফল হবে।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা সুযোগ পেলেই দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জনগণের উপকার করার চেষ্টা করে। জামায়াতের কর্মীরা কোথাও প্রতিবেশীর সম্পত্তি দখল করে না, প্রতিবেশীর কষ্ট না দেয়। তিনি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পরিচয় ব্যবহার করে কাউকে কষ্ট দেওয়া, প্রতিবেশীর অধিকার নষ্ট করা, প্রতিবেশীকে কোনো কারণে বিরক্ত করার একটি ঘটনাও তারা দেখাতে পারবে না।

তিনি জোরালোভাবে উল্লেখ করেন যে জামায়াতে ইসলামীর লোকেরা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা মানুষের সেবা করতে পারে এবং উপকার করতে পারে। আমরা এটি পৃথকভাবে এবং দলগতভাবে করি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে যুব বিভাগের উদ্যোগের উদাহরণও দেন তিনি।

সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের আয় বাড়ছে না, খরচ বাড়ছে। বর্তমান সরকার খুব শীঘ্রই দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, তারা হয়তো চেষ্টা করছেন, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষের নামের কলঙ্ক, কিছু অমানুষ- যাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, তারা আছে। বিভিন্ন সামাজিক পরিচয়, তারাই বাজার ও পরিবহন সিন্ডিকেট করে। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলব, কারো মুখের দিকে না তাকিয়ে যারা ত্যাগের বিনিময়ে ক্ষমতায় এসেছেন তাদের মুখের দিকে তাকান। দলীয় মতের ঊর্ধ্বে উঠে যারা চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ তাদের প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। তাদের প্রতিহত করুন। এদেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনাকে সমর্থন করবে। আর আপনি যদি তা না করেন এবং আপনি জাতির ক্ষতি করেন, তাহলে আপনি ভাল কিছু করতে পারবেন না - আপনি ব্যর্থ হয়ে চলে যাবেন।

তিনি বললেন, আমরা তোমাদের ব্যর্থতা চাই না। যদি আপনি

Leave a comment