চট্টগ্রামের ঘটনায় দেশকে অস্থিতিশীল করার সর্বশেষ ট্রাম্পকার্ড খেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমনটা দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এই আলোচক।
চট্টগ্রাম কাপ্তাইয়ের প্রথম ‘লেডি বাইকার’ নিতু।
ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতা করে বয়কটের শিকার ঢাবির ৭৮ শিক্ষক
শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণায় বিশ্ববাজারে কমেছে চালের দাম
নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে আজাহারী লিখেছেন, ‘সম্ভবত দেশকে অস্থিতিশীল করার সর্বশেষ ট্রাম্পকার্ড খেলা হচ্ছে। দয়া করে সবাই শান্ত থাকুন। কোনো উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না। বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাআল্লাহ।’
সে পোস্টের কমেন্টে আইনজীবী সাইফুল হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন এই ইসলামি বক্তা। যেখানে তিনি লেখেন, ‘দ্রুততম সময়ে চট্টগ্রামের আইনজীবী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
একই আহ্বান জানিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নৃশংস হত্যাকারীদের দ্রুততার সাথে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা সরকারের আশু কর্তব্য। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া উগ্রদের থামানোর ব্যাপারে কোনোরূপ দ্বিধা করা যাবে না।
একইসঙ্গে সর্বস্তরের মুসলিমদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের এবং কোনো প্রকার চক্রান্তের ফাঁদে পা না দিতে অনুরোধ জানান আহমাদুল্লাহ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, দেশের সকল ধর্মের দায়িত্বশীল ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে বলব, আপনারা নিজ নিজ ধর্মের অনুসারীদের শান্ত ও সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানান। কোনো কারণে এই দেশ যদি অশান্ত হয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত আমরা সবাই হব।
প্রজানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইসকনের অনুসারীরা চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইফুলকে কুপিয়ে আহত করে ইসকন সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চমেক হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাইফুল হত্যার বিচার চেয়ে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।