Dhaka, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্ট

সিয়াম ইসলাম

প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:১৪ এএম
Bangla Today News

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বিএনপিকে সাহসী ও উচ্চকিত অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আজ (১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, "এরকম সাহসী ও উচ্চকণ্ঠে অবস্থানের জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ।" এরপর মন্তব্য বিভাগে তিনি আজ সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর প্রেস ব্রিফিংয়ে যোগ করেন।

ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মুখে কুখ্যাত গণতন্ত্রের ঘাতক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বিশ্ব কাঁপানো শান্তি ও স্বস্তির অকল্পনীয় সোনালী দরজা খুলে গেছে। দেশ গণতন্ত্রে উত্তরণের সম্ভাবনা নিয়ে সারাদেশে জনমনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জনগণের কাঁধ থেকে দেড় যুগের বোঝা সরে গেছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, সেখানে দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী মাফিয়া লীগের রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকা ভারত সরকার আশ্চর্যজনকভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তার বেদনাদায়ক অস্থিরতা এবং সবকিছু হারানোর অস্বস্তিতে।

ভারত সরকার শেখ হাসিনার পতন হজম করতে পারছে না বলেও বলা হয়। শেখ হাসিনার পতনে তাদের হৃদয়ে ভয়ানক দাহ। এর কারণ হল, অতিরিক্ত গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডিংয়ের কারণে প্রতিটি প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে। এটি একা হাসিনার ঘাড়ে চড়ে বাংলাদেশের উপর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ভারত বাংলাদেশকে রক্ষাকবচ মনে করত। সেই রক্ষাকবচ চলে গেছে। গত ১৫ বছর ধরে হাসিনাকে সামনে রেখে ভারত কার্যত বাংলাদেশ দখলের চেষ্টা করেছিল। এখন তারা পরিকল্পনা করছে কিভাবে বাংলাদেশকে তাদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া যায়।

ভারত সরকার মনে করে বাংলাদেশকে অষ্টম বোন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে তাদের সেভেন সিস্টার নিরাপদ থাকবে। চাণক্য ভারতের দাস ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন এবং তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে মোদি ও তার পুতুল মিডিয়া বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্র ও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা চরম হতাশা ও বিলাপে নিমজ্জিত। তাদের আচরণ ক্রমবর্ধমান স্পষ্টভাবে: বন্ধুত্বহীন, অস্বাভাবিক এবং একতরফা। স্বৈরাচারের পতন নিয়ে একটি দেশের এমন বিলাপ বিশ্বে বিরল। কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন নিয়ে বানোয়াট গল্প ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছে। ভারতীয় সাম্প্রদায়িক শাসকশ্রেণি ও হাসিনার যৌথ প্ররোচনায় কিছু ভারতীয় উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী মিডিয়া আউটলেট এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের বর্তমান আখ্যান মিথ্যার ধূমপানে ঘেরা। ভারত ভিতর থেকে বাংলাদেশ বিরোধী। তাদের মধ্যে মানবিক নৈতিকতার বিন্দু পরিমাণও নেই। এ কারণে বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক উন্নয়নে বিশ্বাসী দেশের জনগণ ও জাতীয় নেতাদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে।

মূলত হাসনাত আবদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এমন অবস্থান নেওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান।

Leave a comment