প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে। আগুনের ঘটনায় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।
গাজীপুরে বিনা নোটিসে বন্ধ সাফারি পার্ক,"রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার"
The demand for cocaine is increasing in the country, the concern is increasing
মা-ছেলের আলিঙ্গন দেখে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আগুনের ঘটনায় প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৫টায় তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিফ্রিংয়ে মাকসুদ হেলালী বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে আমরা যথেষ্ট সময় নিয়ে আন্তরিকভাবে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় আমরা সুনির্দিষ্ট একটি রিপোর্ট তৈরি করতে পেরেছি। যদিও সুনির্দিষ্ট বলছি, তারপরও এটিকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করার জন্য আরও কিছু টেস্ট দেশে-বিদেশে করাব। তাতে আমাদের রিপোর্ট আরও নিশ্চিত হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা দেখেছি, ভিডিও পাওয়ার আগে এবং পরে মিলিয়ে দেখেছি, ফলাফল একই।’
তদন্ত কমিটির সদস্য বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাতের সময় ১টা ৩২ থেকে ৩৯ মিনিট। সূত্রপাত একটি নির্দিষ্ট সময়ে নয়, সাত মিনিট ধরে আস্তে আস্তে স্পার্কের মাধ্যমে যে জায়গায় আগুন লেগেছে সেটি গরম হয়েছে। সেখান থেকে ম্যাটেরিয়াল গলে পড়েছে। তারপর সেটা একসময় ইনগনিশন টেম্পারেচারে গিয়েছে।’
হেলালী বলেন, ‘তারপর আগুন ধরেছে। আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ধোঁয়া হয়েছে এবং ফ্লেম ভার্টিকালি উপরের দিকে উঠে গেছে। আর ধোঁয়া সচিবালয়ের একটি টানেলের প্রভাবে পশ্চিম দিকে বেরিয়ে গেছে। এতে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে আগুন দুই জায়গায়। বাস্তবে আগুনের সোর্স একটাই। কিন্তু বাতাসের গতি, বিল্ডিংয়ের ডিজাইনের ভিন্নতার কারণে দুদিকে প্রবাহিত হয়েছে।’
বুয়েটের অধ্যাপক বলেন, ‘মোটামুটি ১২-১৪ মিনিটে যে আগুন উৎপাদিত হয়েছে সেটি ছড়িয়ে চূড়ান্ত আগুনে রূপায়িত হয়েছে। ভার্টিকালি উপরে উঠে যাওয়ায় এটি নেভানো অত্যন্ত কঠিন পর্যায়ে চলে গেছে। ছয় তলার আগুন যখন ছড়িয়ে গেছে সেটি না নিভিয়ে সাত তলায় যাওয়ার সুযোগ ছিল না। যার কারণে ফায়ার ব্রিগেডকে ছয় তলা শেষ করে সাত তলায় উঠতে হয়েছে। জীবনের রিস্ক নিয়েই তাদের এই কাজ করতে হয়েছে। আমরা এসব তথ্য নিয়ে সিআইডিসহ সবার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছি, আমাদের অঙ্ক করা জিনিস আর ভিডিও এভিডেন্স ৯৯ ভাগ মিলে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি আগুন এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে।’