রাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। জনরোষের ভয়ে ঐ দিনই গণভবন ছেড়ে ভারতে চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশকে ভালবাসেন সবার আগে দেশ: লুৎফুজ্জামান বাবর
শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি অন্য দেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার অভিযোগে হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সরকার পতনের পর সারাদেশের মতোই রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষার্থীদের রোষানল এড়াতে আবাসিক হল ছেড়ে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। হল ছেড়ে দেওয়ায় নতুন করে খালি হয়েছে বেশ কিছু আসন।
পরবর্তীতে, বেশ কিছু বহিরাগত শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করলে গতবছরের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন হল প্রভোষ্ট সাদ্দাম হোসেন ছাত্র হলে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধভাবে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।
এরপর, গত ১৪ জানুয়ারি ছাত্র হলে আসন বরাদ্দ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হল প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন জমা দেয় শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী হলে আসনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন।
এদিকে, আবেদন জমা শেষ হওয়ার মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ হয়নি আসন বরাদ্দের তালিকা। এমনকি নেওয়া হয়নি আসন বরাদ্দের জন্য মৌখিক পরীক্ষা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে বৈধভাবে আসন বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অবৈধভাবে খালি হওয়া আসনে অনেকে অবস্থান করছে৷ এ ব্যাপারে হল প্রশাসনের কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। তাই আমরা যারা হলে আসন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি, তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে ভুগছি।"
হলে আসন বরাদ্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্তমান হল প্রভোস্ট খোকনেশ্বর ত্রিপুরা বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান উন্নয়নমূলক কাজে ব্যস্ত থাকায় আমরা এখনো পারিনি তবে এই ব্যাপারে আমাদের এই সপ্তাহে বসার কথা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত দিয়ে দেওয়ার।
উল্লেখ্য, নতুন উপাচার্য যোগদানের পরপরই ইতিবাচক ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজে ভূমিকা রাখায় প্রশংসায় ভাসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন। এমতাবস্থায় ছাত্র হলে কোন প্রকার বৈষম্য না করে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈধ উপায়ে আসন পাওয়াই শিক্ষার্থীদের চাওয়া।