রাশিয়ার সঙ্গে যদি আগামী কয়েক মাসের যুদ্ধবিরতি হয় তাহলে এ বছরের শেষের দিকে ইউক্রেনে নির্বাচন আয়োজন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ কর্মকর্তা কেথ কেলোগ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সৌদিতে ২৯ রমজানে ঈদের চাঁদ উঠবে, আকাশে থাকবে ৮ মিনিট
সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অপসারণের বিষয়ে দুদকের চিঠি
MV Abdullah will arrive in Dubai in the afternoon
তিনি ট্রাম্পের রাশিয়া-ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটিতে মার্শাল ল জারি করেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। তবে যুদ্ধবিরতি শেষে ‘নির্বাচন হতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন কেথ কেলোগ।
তিনি শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সকে বলেন, “যুদ্ধের সময় বেশিরভাগ গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হয়। আমি মনে করি ইউক্রেনেরও নির্বাচন আয়োজন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাঁটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। যেখানে একের অধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।”
ট্রাম্প এবং কেথ কেলোগ উভয়ই বলেছেন তারা রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে শুরু হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধ বন্ধে কী ধরনের পরিকল্পনা তারা করছেন সে ব্যাপারে কোনো ধারণা দেননি।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক শর্ত হলো দেশটিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তারা এখন এদিকটায় জোর দিচ্ছেন।
এছাড়া স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আগে কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে অস্থায়ী কোনো যুদ্ধবিরতি করা যায় কি না সেটিও চেষ্টা করছেন তারা। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে ইউক্রেনে যিনি নতুন প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব ইউক্রেন কীভাবে নেবে সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামলেও এ বছর তাদের নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। এছাড়া রাশিয়া আবারও ইউক্রেনে হামলা চালাবে না এমন নিশ্চয়তা চান তিনি।